(মতামত)
মোঃ মামুনার রশীদ মুনঃ
আজ আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে অসুস্থ থাকার কারনে, নিজের বাসা থেকে বাইরে বের হওয়া হয় খুব কম। কিন্তু হঠাৎ এক সকালে দেখলাম মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ পাভেল আকবর আমার প্রিয় বন্ধুর অনেক সুন্দর পোস্টার ঈশ্বরদীর প্রতিটি অলিগলিতে লাগানো রয়েছে ।
আমি মুগ্ধ। আমি আনন্দিত। কারন শেখ পাভেল আমার খুব কাছের প্রিয় একজন ভালো বন্ধু । আর সে কারনেই তার সম্পর্কে দুটি কথা আপনাদের সবার উদ্দেশ্য লিখলাম। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
ঈশ্বরদীর সূর্য সন্তান শেখ বাকী সাহেবের সাহসী সন্তান শেখ পাভেল আকবর। শেখ পাভেল আকবর হচ্ছে ঈশ্বরদীর গরীব অসহায় দুঃখী মানুষের পাশে নিঃস্বার্থ মন নিয়ে থাকে। তার মতো মহৎ মনের মানুষ আজ পাবনা-৪ আসনের গরীব অসহায় মানুষের জীবন জীবিকার এবং সুস্থতার জন্য খুব দরকার।
আজকের নেতারা তো নিজের আখের গুছানোর জন্য ব্যাস্ত থাকেন। কিন্তু আমাদের শেখ পাভেল আকবর নিজের ব্যাবসায়ি কাজের ব্যাস্ততার ভীড় ঠেলে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ঈশ্বরদীর নতুন প্রজন্মদের জন্য শেখ পাভেল আকবরের একটা সাহসী শ্লোগান- মাদককে না বলুন ⚽ খেলার মাঠকে ভালোবাসুন। এটা একমাত্র শেখ পাভেল আকবরের কালজয়ী শ্লোগান।
সে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬টি নিরপেক্ষ সংগঠন সৃষ্টি করেছে। এবং ভবিষ্যতে ঈশ্বরদীবাসির কল্যানকর কাজ করার ইচ্ছে আছে তার। কারন আমি তাকে খুব কাছ থেকে জানি।
সে আমার বাল্যবন্ধু। সে ছোটোবেলায় যেমন ডানপিঠে ছিলো তেমনি সাংস্কৃতিক অনুরাগী ছিলো। সে খুব ছোটবেলা থেকে নিজে নাটক লিখে ঈশ্বরদী ললিত কলা একাডেমির মঞ্চে মঞ্চস্থ করতো । ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারতো। তার এসব দেখে ১৯৮২/৮৩ সালের দিকে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের বাংলার প্রফেসর শ্রী অরবিন্দ ঘোষ তাকে নাট্যকার বলে সন্মাননা জানিয়ে ছিলেন। সে মঞ্চের একজন শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ছিলো। সে খলনায়ক হিসেবে বাংলা সিনেমায় এক সময় অভিনয় করতো। সে বিটিভির সাপ্তাহিক নাটকে অভিনয় করতো। ঢাকা শিল্পকলার মঞ্চে তার অভিনয় দেখে দর্শক যখন তার কাছে অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য কাগজ কলম বাড়িয়ে দিতো, তা দেখে সে খুশিতে কান্না করে ফেলতো। সে ১৯৮৯/৯০ সালের দিকে বাংলাদেশের একজন নামকরা ফটোজার্নালিষ্ট হিসেবে পরিচিত লাভ করে ছিলো ।
সেই তো আমাদের শেখ পাভেল আকবর। একটা কথা না বললেই না যে কাজটি ঈশ্বরদীর সাংসদ সদস্য, পৌর মেয়র অথবা উপজেলার চেয়ারম্যান সাহেবের মতো দায়িত্ব প্রাপ্ত মানুষের করার কথা ছিলো। সেই কাজটি শেখ পাভেল আকবর সূদুর ঢাকা থেকে করে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে ঈশ্বরদী একটি রেলওেয়ের বড়ো জংশন স্টেশন এটা আমরা সবাই জানি। এখানে ট্রেন থেকে বয়স্ক পুরুষ/ মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের উঠানামা করার জন্য দুইটি ভালো হুইল চেয়ার এই স্টেশনে নিজের অর্থায়নে কিনে প্রদান করে দিয়েছেন। যাতে বৃদ্ধ মা-বাবার এবং কোনো প্রতিবন্ধির কখনো কোনো সমস্যা না হয় ট্রেনে উঠানামা করতে। এটাই মনুষ্যত্ব। এটাই মানুষ মানুষের জন্য।
এতো বড়ো মনের মানুষের আজ আমাদের ঈশ্বরদীর গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের জন্য বড়োই প্রয়োজন বলে আমরা তার বন্ধু মহল সবাই মনে করি।
সে ঈশ্বরদীর অনেক মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা সহ গরীব অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ঈশ্বরদী উপজেলার প্রতিটি এলাকায় তার নিজের লোক দিয়ে অনেক অনেক বেশি খেয়াল রাখার চেষ্টা করে সব সময়। যা আজকের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা বিরল ঘটনা, তাই আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে নিরপেক্ষ মন খুলে আমাদের শেখ পাভেল আকবরের সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করি। সে ভালো থাকলে ঈশ্বরদীর অসহায় মানুষ ভালো থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ মো: মামুনার রশীদ মুন।
পশ্চিমটেংরি (বাবু পাড়া) ,ঈশ্বরদী।