মেগানিউজ রিপোর্টঃ ঈশ্বরদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে বিশেষ ভূমিকা রাখা কাঁদুনি গ্যাসে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রিকশা চালক দুখু মিয়ার দুঃখ ঘুচাতে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশা প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার(০৮ এপ্রিল) বিকেলে সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাদককে না বলুন “ মানাব” এর উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় ক্রয়কৃত রিকশা আনুষ্ঠানিকভাবে দুখু মিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে অটো-রিকশা চালক দুখু মিয়াকে মানাব ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নতুন পাঞ্জাবী পড়িয়ে ফুল দিয়ে বরণ ও স্বীকৃতিস্বরুপ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মানাবের সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সেলিনা আক্তার রিটা, আলেয়া পারভিন, মহসিনা আক্তার, শারমিন সুলতানা কাকলী এবং মানাব ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সাদিকুল ইসলাম রাসেল, ফারজানা ফেরদৌস পুষ্প, মাহিম মেহরাব, তানজিদুর জামান দিহান, তাইয়্যিবা মাসুম, রুকাইয়া তানজিম, আবির হাসান, তামিম ইকবাল, মেহের হোসেন সৈকত, আসিফ ইসলাম তন্ময়, রায়হান আলী অনিক, শাওন,তাহারাব হাবিব,তাহসিন আহমেদ সিয়াম ও পুলক কুন্ডু প্রমূখ।
দুখু মিয়া উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোকুলনগর এলাকার লালু প্রামানিকের ছেলে এবং পেশায় রিকশা চালক।
সংগঠক মাসুম পারভেজ কল্লোল বলেন, দুখু একজন প্রতিবাদী মানুষ। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে নিজের বিপদ জেনেও দুখু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাতের আধারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেওয়া করেছেন। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশী খবরাখবর এনে দিয়েছেন। আন্দোলনে তার এই অবদানের স্বীকৃতি প্রদানে আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পরিবার, মানাব ও কিছু ব্যক্তির প্রদানকৃত আর্থিক সহযোগিতায় দুখুকে রিকশাটি প্রদান করা হয়েছে।
মাসুম পারভেজ আরো বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে অন্তবর্তিকালিন সরকার। এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রাণের ও রক্তের ফসল। এই কারণে আমরাও সরকারের উন্নয়ন যাত্রায় শরিক হতে ঈশ্বরদীর হত দরিদ্র রিকশা চালক দুখুর সংসারের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি অটো-রিকশা প্রদান করেছি। দুখু এখন নিজস্ব রিকশার মালিক। এই রিকশা দিয়ে তার সংসারের দুঃখ ঘুচাতে পারবে এটায় প্রত্যাশা।
রিকশা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে দুখু মিয়া বলেন-আমি কখনো একটি রিকশার মালিক হবো, এটা ভাবতেও পারেনি। মানাব ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি আমি ও আমার পরিবার বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই রিকশা দিয়ে আমার সংসারের অভাব দুর হবে। আমার দুঃখ কষ্ট লাঘব হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মানাব আগুনে পুড়ে যাওয়া উপজেলা সাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধি আব্দুস সালামের বাড়ি প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছে।