বিশেষ প্রতিবেদকঃ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ২০ নভেম্বর।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতেই সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
সম্মেলনের অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন ও তোরণ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটির জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্র এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শীর্ষ এ দুই পদে যাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর তদবির ও লবিং। তারা বিভিন্নভাবে তাদের যোগ্যতা এবং দলের জন্য ত্যাগকে সামনে এনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজেদের আইডিতে দলীয় কর্মকান্ডের ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এমন গুণাবলীসম্পন্ন লোকেরা শীর্ষপদে আসীন হতে পারেন বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও সাবেক দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দীন চুপ্পু, পাবনা-৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক টুকু এমপি, বর্তমান জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহিম, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইদুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস প্রমূখ।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক (উপ-কমিটি)’র সদস্য প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আলিম, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বিল্লু, খ.ম হাসান কবির আরিফ, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন প্রমূখ।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকারী গুরুত্বপূর্ণ নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব বাছাইয়ে যারা নেতৃত্বের যোগ্যতায় এগিয়ে থাকবে তারা শীর্ষ পদ পাবে। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও দলের প্রতি নিবেদিতরাই এ পদে আসতে পারেন। এছাড়া আগামীতে দলের কঠিন মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে কি-না এটিও বিবেচনায় থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।