জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আবিদুর রেজা জুয়েল মারা গেছেন

৩০ জুলাই, ২০২৪ | Mega News.com



মেগানিউজ রিপোর্টঃ ১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাসেবাও চলছিল। শেষ পর্যন্ত ফেরানো গেল না সংগীতশিল্পী জুয়েলকে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন একসময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। প্রথম আলোকে জুয়েলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী উপস্থাপক সংগীতা আহমেদ।

 

জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।

 

জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে তাঁর লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাসেবা চলছিল। গত অক্টোবর থেকে জুয়েলকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরের মঙ্গলবার, অর্থাৎ আজ চিরবিদায় নিলেন এই শিল্পী।

 

ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাঁকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মা–বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।

 

১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি–কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

 

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।

 

একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। ১০টি একক অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তাঁর নাম হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’। জুয়েল একই সঙ্গে সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, আর্থিক ও মনের কথা বিবেচনা করে তিনি তাঁর পেশাকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। গান করতেন হৃদয়ের টানে। শিল্পী জুয়েল হিসেবে পরিচিত হতেও পছন্দ করতেন। তাই গান করার সময় যাতে আর্থিক টানাপোড়েনে পড়তে না হয়, সে জন্য আরেকটি পেশা বেছে নিয়েছিলেন।



  বিনোদন বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত

নামাজের সময়সূচি

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ফজর ৪:২৬
জোহর ১১:৫৬
আসর ৪:৪১
মাগরিব ৬:০৯
ইশা ৭:২০
সূর্যাস্ত : ৬:০৯সূর্যোদয় : ৫:৪৩

শিরোনামঃ

♦ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বিটিএ) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের / সম্পাদক ফজলুল হক নির্বাচিত ♦ ঈশ্বরদীতে কিডনি চিকিৎসায় হাসপাতাল করা সম্ভব-- প্রফেসর ডাঃ কামরুল ইসলাম ♦ মহান বিজয় দিবসে সাবেক মেয়র বাবলু সমর্থিত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ♦ মহান বিজয় দিবসে ঈশ্বরদীতে বিএনপির বর্ণিল শোভাযাত্রা ♦ কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা  ♦ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঈশ্বরদীতে শহীদ বেদীতে বিএনপির শ্রদ্ধা ♦ ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ♦ স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টে ৪ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলার শুভ উদ্বোধন ♦ সফল জননী জয়িতা পুরস্কার পেলেন ঈশ্বরদীর নুরজাহান ইসলাম ♦ ঈশ্বরদীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কৃষি নীতিমালা বাতিলের দাবিতে কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন