অন্দরে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে কাঠের আসবাবের জুড়ি নেই। তবে অভিজাত ভাব ধরে রাখতে গেলে সেই আসবাবের সৌন্দর্যও ধরে রাখতে হয়। যত্ন নিতে হবে।
যত্নে কাঠের আসবাব
কাঠের আসবাবের যত্ন লাগে নিয়মিত। কিছুটা সময় বের করে ধাপে ধাপে কাজগুলো করে ফেললেই হবে। অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন চৌধুরী জানালেন, দিনের একটা সময় নিয়ম করে প্রতিদিন আসবাবের গায়ে পড়া ধুলাবালু শুকনো নরম সুতির কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। এতে করে ধুলাবালু জমার সুযোগ পাবে না। নয়তো প্রতিদিন একটু একটু করে ধুলো জমতে জমতে একসময় তার মধ্যে নানা রকম জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া কাঠের ক্ষতি করতে পারে। কাঠের গায়ের স্বচ্ছ পাতলা পলিশ নষ্ট করে কাঠের গায়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। প্রলেপটি কাঠকে যেমন সুরক্ষা দেয়, তেমনি এর উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে। সে জন্যই কষ্ট করে হলেও রোজ ধুলাবালু পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। কড়া রোদ বা বৃষ্টির ছাট গায়ে লাগতে পারে, এমন জায়গা থেকেও কাঠের আসবাব দূরে রাখতে হবে। কড়া রোদে কাঠের রং নষ্ট হয়। ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ জন্য জানালা বা দরজায় মোটা বা ভারী কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে হবে।
কাঠের আসবাবের গায়ে থাকা নকশার ফাঁকের ধুলো পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে যেসব কোনায় হাতের আঙুল বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না, সেগুলো অনায়াসে বেরিয়ে আসে। খুব বেশি ময়লা জমে কালো বা আঠালো ভাব এলে হালকা সাবানজলে পাতলা সুতি কাপড় ভিজিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিত্যদিনের ব্যবহৃত আসবাবে হাতের ছাপ, চায়ের দাগ, পানির দাগ, আঠালো ময়লা বসে যায়। এগুলো থেকে সাবধানে থাকতে হবে। কাঠের গায়ে পানি বা চাসহ অন্যান্য তরল পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শুকনো কাপড়ে মুছে নিতে হবে। খাবার টেবিল, বসার ঘরের সেন্টার টেবিল কিংবা রান্নাঘরের কেবিনেট—কোনোটিতে সরাসরি কাঠের গায়ে গরম কোনো কিছু রাখা যাবে না। গরম তাপে কাঠের গায়ের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়।
কাঠের গায়ের চাকচিক্য বজায় রাখতে এসব নিয়মের বাইরেও বছরে একবার বা দুবার প্রলেপ দেওয়া বা বার্নিশ করে নেওয়া যেতে পারে। এতে যেমন আসবাবের সৌন্দর্য বাড়বে, স্থায়িত্ব বাড়বে। বজায় থাকবে ঘরের আভিজাত্যও।