মেগানিউজ রিপোর্টঃ নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, সারাদেশের নৌপথ উন্নয়নের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার কার্যক্রম হয়ে গেছে, অল্প কিছুদিন পরই ঠিকাদাররা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে যাবে। কাজ শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হবে সরকার।
শুক্রবার বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু’র ১০০ জন্মোৎসব শীর্ষক দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মংলা থেকে রুপপুর পর্যন্ত ৯৯৭ কোটি টাকার নৌরুটের কাজ চলমান আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ডিপিপি অনুমোদনের কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি নগরবাড়ি থেকে ফেরী সার্ভিস আবার চালু হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইতিমধ্যে নবনির্মিত পাবনা মেরিন একাডেমীতে কমান্ড্যান্ট নিয়োগ হয়ে গেছে। এই শিক্ষাবর্ষে কিছু বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা মেরিন একাডেমী উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এর আগে দুইদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ১০০ জন্মোৎসব অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা।
ওসাকার নির্বাহী পরিচালক কবি ড. মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ এর প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় নজরুল ইন্সটিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কবি আসলাম সানি, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, পাবনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিক, ওসাকার পরিচালক মো. মাজাহারুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো, নুরুল ইসলামসহ নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ সুধীজনেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আলোচকবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ১০০ জন্মোৎসব উপলক্ষে মুজিবাব্দ বর্ষ ঘোষনার দাবী জানান। দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, উদ্বোধনী পর্ব, শ্রদ্ধার্ঘ্য, আলোচনা সভা, সেমিনার, ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মো. মাজাহারুল ইসলাম, মাধবী ইসলাম, অলোক চক্রবর্তি, আবু সাইদ খান, প্রদীপ দাস সংগীত পরিবেশন করেন। তালে ছিলেন রমেশ ঘোষ এবং বৌটুবানী পাঠশালার প্রশিক্ষক সুমাইয়া আখিসহ অন্যরা বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরনে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশনা শুভনীড় মুজিববর্ষে উন্নয়ন স্পর্শে শীর্ষক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।