মেগানিউজ রিপোর্টঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুই ইউনিটেই বসে গেছে পরমাণু চুল্লি। আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে বলে আশাবাদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের। তবে সেই বিদ্যুৎ সময়মত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা সঞ্চালন লাইনের কাজ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগোয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের চাহিদা মাথায় রেখে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এসব প্রকল্পের সঞ্চালনে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র টাকার অংকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ২০১৭ সালের নভেম্বরে কংক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকেই দেশি বিদেশি ২৫ হাজার কর্মী রাতদিন কাজ করছে সমানতালে।
গত বছর প্রথম ইউনিটে স্থাপনের পর সম্প্রতি দ্বিতীয় ইউনিটেও বসেছে পরমানু চুল্লি। যেখানে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের ব্যবহারে চেইন রিঅ্যাকশনে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। আগামী বছরই লোড হবে সেই জ্বালানি ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৭০ ভাগ। ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই গ্রিডে বিদ্যুৎ দেয়ার প্রস্তুতি নিলেও সঞ্চালন লাইনের অনিশ্চয়তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।
রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১৮ সালে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় পাওয়ারগ্রিড কোম্পানি-পিজিসিবি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পে অর্থছাড় হয়েছে ২৭ ভাগ আর ভৌতকাজ হয়েছে ৪৫ শতাংশের মত।
রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পে পিজিসিবির সাত প্যাকেজের কাজে সবচেয়ে কম গতি যমুনা ও পদ্মানদীর অংশে।