মেগানিউজ রিপোর্টঃ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডার চর গড়গড়ি গ্রামে তিনদিনব্যাপী ‘চরনিকেতন বৈশাখী সাহিত্য উৎসব-১৪৩২’ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও দেশ-বিদেশ থেকে শতাধিক কবি, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজকর্মীরা অংশ নেন এই উৎসবে। এতে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, বই উন্মোচন, গীতিনাট্য, লাঠিখেলা, জারিগান, শোভাযাত্রা ও আরও নানা রকম দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল।
উৎসবের শেষ দিনে ৬০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হন সমকালীন বাংলাভাষার শক্তিমান কবি ও গবেষক মজিদ মাহমুদ। চরনিকেতনের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কবি মজিদ মাহমুদের ৬০তম জন্মদিন পালন করা হয়।
বুধবার(১৬ এপ্রিল) দিনভর ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়িতে কবির জন্মভিটায় সমাপনীতে কবি সাহিত্যি-সাংস্কৃতিক কর্মীরা নানা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। আনন্দ উৎসবে যোগ দেন পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মোঃ মাহাতাব উদ্দিন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, ঈশ্বরদী সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম সনু, সাধারণ সম্পাদক এস আলমগীর,সহ-সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু, অর্থ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান টিপু, সিনিয়র সাংবাদিক খন্দকার মাহবুবুল হক দুদু, সাংবাদিক রেজাউল করিম ফেরদৌস সহ দেশের বিভিন্ন জেলার কবি সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই বৈশাখী উৎসব এখন পরিণত হয়েছে এক প্রাণবন্ত বার্ষিক আয়োজন হিসেবে। তবে চর গড়গড়ির এই রূপান্তরের শুরু আরও আগে- ১৯৯৪ সাল থেকে মজিদ মাহমুদের স্বপ্ন ও সাধনায়। তার হাত ধরেই গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্থায়ী কাব্যমঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পাঠাগার, প্রবীণদের জন্য সামাজিক কেন্দ্র, মসজিদ এবং নির্মাণাধীন একটি আধুনিক হাসপাতাল।