মেগানিউজ রিপোর্টঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পাবনায় ১৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (৩০ মে) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সিলগালা করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো-পাবনার শালগাড়ীয়ার এসোট গ্যাস পাম্প এলাকার মায়ের আঁচল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টার্মিনাল মক্কা প্লাজার গ্লোরিয়াস হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফরিদপুরের লাইফ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়ার নাটিয়াবাড়ি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফরিদপুরের তেতুলতলা মোড়ের কনফিডেন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাটমোহরের জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শহীদ মিথুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাঁথিয়ার আতাইকুলার মোহনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হালিমা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ যমুনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়া হাসপাতালের সামনের সরকার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়ার শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিঅ্যান্ডবি বাজারের বিল্লাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দাশুড়িয়ার সৃষ্টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এছাড়া পাবনা শহরের আল শাফি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ২০ হাজার টাকা, আটঘরিযা ও চাটমোহরের সততা ও সেফা কেয়ার হাসপাতালকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নিবন্ধন করার জন্য তাদের ১ মাস করে সময় দেওয়া হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক পাবনার সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে সাঁথিয়া উপজেলার তিনটি নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র না থাকলে কোথাও এমন প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে দেওয়া হবে না।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধন ও নবায়নের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো তাদের সেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। পাবনার জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।