আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ব্যক্তিজীবনে তিনি চমৎকার মানুষ ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে আমাদের প্রত্যেক্যের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা মানুষ হিসেবে ছিলেন অমায়িক ও ভদ্র। ’- মুক্তিযুদ্ধে খোকার অবদানের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় খোকার নামাজের জানাজায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শুধু আওয়ামী লীগ নেতারা নয়, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের এ গেরিলা যোদ্ধার জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণও অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘খোকা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি আধুনিক ঢাকা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, জানাজায় সব দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে যে তার বাবা সবার কাছে একজন গ্রহণযোগ্য নেতা ছিলেন। আমার বাবা দেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে না পারার দুঃখ নিয়ে মারা গেছেন। তিনি (খোকা) ভ্রমণ নথি দিয়ে দেশে ফিরলেন। তিনি ২০১৭ সালে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করলেও তিনি তা পাননি।’
ইশরাক খোকার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে তাদের সহযোগিতা করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জানাজা শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সংসদের বিরোধী দলের নেতা পক্ষ থেকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, এলডিপি প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদসহ বর্তমান ও সাবেক সংসসদ সদস্যরা খোকার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খান, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এলডিপি সভাপতি অলি আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সংসদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা যোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সাবেক মন্ত্রী খোকা নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সূত্র : ইউএনবি।