মেগানিউজ রিপোর্ট ঃ ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে এমন প্রতিবেদন দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। তবে, তাদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করতে এফিডেভিট করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। কোর্টের অনুমতি নিয়ে এফিডেভিট করেছি। যেদিন এ বিষয়ে আদালতের তালিকায় আসবে সেদিন দাখিল করব। ’
আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও কর্মকর্তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে ২৬ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতে আইজিপি আজ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।’
এতে আরও বলা হয়, রাজধানীর সাতটি থানার পুলিশ আসামিদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ কারণে আসামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে থেকে জানা যায়, এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইলের শাখা থেকে পদ্মা রেল সেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ছয়টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওয়ার্ক অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ দেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের জুনে কথিত এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের স্বত্তাধিকারী এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ ছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ৭টি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রস্তুত করে আরও ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।