ঈশ্বরদীতে কিডনি চিকিৎসায় হাসপাতাল করা সম্ভব-- প্রফেসর ডাঃ কামরুল ইসলাম

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪


মেগানিউজ রিপোর্টঃ ঈশ্বরদীর অমিয় সন্তান কিডনি প্রতিস্থাপনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত প্রফেসর ডা: মোঃ কামরুল ইসলামের শুভাগমনে শুভেচ্ছা অভিনন্দন সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ঈশ্বরদীর অভিজাত কাশমেরী ফুড গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদী বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও সাপ্তাহিক হ্যালো ঈশ্বরদীর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ওমর খাঁন সুমার।  

 

ঈশ্বরদী বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ন-আহবায়ক ও দৈনিক উত্তর জনতার সম্পাদক শহিদুল হাসান ববি সরদার এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ব্ক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও দেশসেরা কিডনি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: মোঃ কামরুল ইসলাম।  

 

এসময় বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরদী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শরিফুজ্জামান, দৈনিক আলাপের সম্পাদক আশিকুর রহমান লুলু, কলামলেখক সরোয়ারুজ্জামান মনা বিশ্বাস, পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবী আশরাফুর রহমান সুমন, ডাক্তার ইব্রাহিম হোসেন, দৈনিক কালবেলার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধ আমিরুল ইসলাম রিংকু, সাংবাদিক সেলিম আহমেদ, ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণস সম্পাদক রেজাউল করিম ফেরদৌস, ভূমি অফিস কর্মকর্তা আফছার আলী, সাংবাদিক মোফাজ্জাল হোসেন, ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল আলম পিন্টু।

 

এছাড়া চিকিৎসক, আইনজীবি, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

 

বক্তারা বলেন, আজকে আমরা এমন একজন মানুষকে পেয়েছি যিনি দেশের সাধারন মানুষদের সেবায় সব সময় নিয়োজিত থাকেন। আপনি আমাদের গৌরব গর্ভ ঈশ্বরদীর কৃতি সন্তান, জাতীয় বীর ও জ্যোতি ভরা মানুষ। এই কারনে আপনি ইতোমধ্যে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ঈশ্বরদীতে কিডনী চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল বা ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার স্থাপনের জন্য অনুরোধ করেন। আপনি অতি সামান্য অর্থের বিনিময়ে কিডনী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। অনেক মানুষ টাকার জন্য ভারতে চিকিৎসা দিতে পারেন না। তাদের সুচিকিৎসার জন্য আমাদের ঈশ্বরদীতে কিডনী প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা গেলে সাধারন মানুষ উপকৃত হবে। ১৯৮৪ সালে হাফিজুর রহমান নামের একজন রোগীর কিডনী প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন।

 

প্রফেসর ডাক্তার কামরুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদীতে একটি ডায়লোসিস সেন্টার করা সম্ভব। তবে এই প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন ব্যাপার। ডায়লোসিস সেন্টার ২৪ ঘন্টা চালু রাখতে হবে। এক শ্রেনীর মানুষ বিদেশে বিয়ের কেনাকাটার জন্য যায়। তারা স্বাস্থের জন্য চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাবে এ জন্য আমি কিছু মনে করিনা। তবে যারা বাড়িঘর জমাজমি বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আমার কাছে আসেন, তাদের বাধা দিতে হবে। একজন মৃত মানুষের কিডনী নিয়ে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা দিলে খরচ কম হবে। 

 

অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ঈশ্বরদীর বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ পরিষদ।