ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারের প্রার্থীতা বাতিল: হাইকোটে রিট

আপডেট : ২৬ মে, ২০২৪


মেগানিউজ রিপোর্টঃ ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক রানা সরদারের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আজ রোববার (২৬ মে) দুপুরে তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

 

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারের নেতৃত্বে গত ১৩ মে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিশাল শোডাউন করা হয়। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর, হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে।

 

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না মর্মে রানা সরদারকে তলব করে নির্বাচন কমিশন। রোববার ইসিতে উপস্থিত হয়ে রানা সরদার জবাব দেন। এরপর নির্বাচন কমিশন সচিব তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন।

 

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপস্থিত হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

ইসি সচিব আরও জানান, সোমবার (১৩ মে) এমদাদুল হক প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর উপজেলা পোস্ট অফিস মোড়ে আনুমানিক ১৫০/২০০ মোটরসাইকেলসহ পথসভা করেন।যাতে অন্তত ছয় হাজার লোক সমবেত করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী সভার ২৪ ঘণ্টা আগে এর জন্য স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।

 

আনারস প্রতীকের নির্বাচনী শোডাউন ও মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে পাবনা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন। পাবনা জেলা প্রশাসক ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি ইসির দৃষ্টিতে আনেন। পরে কমিশন তাকে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে বলে। 

 

ইসি সচিব বলেন, রোববার (২৬ মে) ওই প্রার্থী তার আইনজীবীসহ কমিশনে হাজির হন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সবার সম্মতিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। 

 

এ বিষয়ে রানা সরদার বলেন, ইসির এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আজই তিনি রিট আবেদন করেছেন।