অনুষ্ঠানে আসেনি বাংলাদেশ দূতাবাস: প্যারিসে স্থায়ী শহিদ মিনার উদ্বোধন

আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৩


সালাহ উদ্দিন, প্যারিস, ফ্রান্স:
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের সেইন্ট ডেনিস ইউনিভার্সিটির বার্নার্ড মারি স্কয়ারে নির্মিত স্থায়ী প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবরের ওই অনুষ্ঠানে দল-মতনির্বিশেষে ফ্রান্সের সংগঠনগুলোসহ ইউরোপের ১৩টি দেশের বাংলাদেশি বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কেউ অংশগ্রহণ করেননি।


প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্যারিসের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী শহিদ মিনার বানিয়ে ফুল দিয়ে সেখানে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখন থেকে সবাই স্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যারিসের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।


প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন সেইন্ট ডেনিসের মাননীয় মেয়র ম্যাথিউ আনোতাঁ। তিনি ফরাসি ভাষায় বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বের সব ভাষাভাষীর জন্য গর্বের বিষয়। এখন থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা সবাই এই শহিদ মিনারে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পারব। ”


শহিদ মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা ‘অ্যাসোসিয়েশন সিকুয়ানো বাঙ্গালী’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আমরা গর্বিত বাঙালি জাতি। জীবন দিয়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছি। প্যারিসে বাংলাদেশি শহিদ মিনার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্রান্সে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে। কিন্তু দূতাবাসের পক্ষ থেকে কেউই আসেননি। উদ্বোধনী বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার জন্য রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কড়া সমালোচনা করেন।


শহিদ মিনার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৯ লাখ টাকা। এর অধিকাংশ অর্থায়ন করেছেন কাজী এনায়েত উল্লাহ।

 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ফ্রান্সে প্রথম স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে পিংক সিটি তুলুজে।