ঈশ্বরদীসহ আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৩

 

মেগানিউজ রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম ধাপে ঈশ্বরদীসহ সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন।

 

সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।

 

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।

 

এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 


অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

 

মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।

 

হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামি দাওয়াতের জন্য সম্মেলনকক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরম পন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করা।

 

‘এ’ ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট–সুবিধা এবং ২৩৬০ দশমিক শূন্য ৯ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন চারতলাবিশিষ্ট ৬৯টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় ‘সি’ ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

 

নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।

 

৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রানীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্মসচিব মু. আ হামিদ জমাদ্দার।