ঈশ্বরদীতে আরআরপি ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার কারখানা উদ্বোধন

আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

 

মেগানিউজ রিপোর্টঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈশ্বরদীতে দেশের অন্যতম বৃহৎ ফুটওয়্যার শিল্প কারখানার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির ওপর কারখানাটি নির্মাণ করা হয়েছে।

 

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলায় ‘আরআরপি ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস লিমিটেডের শতভাগ রপ্তানিমুখী এই শিল্প কারখানার উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

 

আরআরপি এগ্রো ফার্মস-এর চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আজমল হোসেন। বক্তব্য দেন- ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর-মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান ও কোরিয়ান অতিথি মিস্টার লি।

 

উপস্থিত ছিলেন- আরআরপি ফার্মসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মো. মুনসুর আলম, পরিচালক গোলাম আজম, পরিচালক রফিকুল আলম, পরিচালক মামুনুর রশিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও বিদেশি অতিথিরা।

 

জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে আড়কান্দি প্রধান কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরে দুবলাচরায় আরআরপি ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস লিমিটেডের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।

 

কারখানায় জুতা-স্যান্ডেলের সঙ্গে মানিব্যগ, বেল্ট, লেডিস পার্স ও ব্যাগ এবং চামড়াজাত-সিনথেটিক ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদিত হবে। জাপান, ভারত, ইউএসএ, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হবে। কারখানা নির্মাণের ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অনেক বেকারের কর্মসংস্থাপনের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। যা দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন।

 

আরআরপি ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস’ কারখানার পরিচালক মো. আজমল হোসেন বলেন, ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস এর দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পোশাকের পরেই এই পণ্যের অবস্থান। আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখবে।  

 

তিনি বলেন, বিদেশি টপলাইন মেনে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করা হবে। ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে এই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।

 

এই কারখানায় পাঁচ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি জানান।