ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকা এযেন জমজমাট নেশার বাজার

আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০২১



মেগানিউজ রিপোর্টঃ ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের লোকোসেড, ফতেমোহাম্মদপুর, নিউকলোনী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে হাতে এখন মাদক। আর এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের প্রকাশ্য অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। আর প্রশাসনও এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

 

এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, ফতেমোহাম্মদপুর ও নিউ কলোনীর পরিত্যক্ত তিন তলা ভবনে এবং রেলওয়ে ট্যাংকি মোড়ের আশেপাশে অবাধে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। এলাকাটি মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় এখানে নির্বিঘ্নে তারা প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত অবাধে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, বাংলা মদ ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে চলেছে। তবে রাত বাড়তে থাকলে লোকোসেড ও ফতেমোহাম্মদপুর এলাকা মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, ফতেমোহাম্মদপুর ফুটবল মাঠের পাশে মৃত এজাজের ছেলে মোঃ আরমান ওরফে মোটা আরমান, ফতেমোহাম্মদপুর বেলতলা এলাকার মৃত আজাহারের মেয়ে মোছাঃ মালা ও মনু ব্যাপারীর ছেলে রতন, লোকোসেড নাজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে শামীম ও শামীমের স্ত্রী নুরুন্নাহার, মোঃ বাচ্চুর ছেলে জুয়েল ওরফে হিলি জুয়েল, নিউকলোনী এলাকার শান্ত, লোকোসেড ফুটবল মাঠের পাশে রুনু, ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার আততাব, রেলওয়ে হাসপাতালের সামনে উজ্জ্বল ইনটেক, লোকো গোরস্তান এলাকার হাসান, ফতেমোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ডাক্তার জুয়েল, ফতেমোহাম্মদপুর মিজানের মোড় এলাকার একরাম, আরমান ও ইমরান দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে। যা এলাকায় মাদকের হাট নামে পরিচিতি রয়েছে। 

 

এলাকাবাসী আরো জানায়, এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতেও ইয়াবা তুলে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এই এলাকায় সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতারা এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী সচেতন গ্রামবাসীরা বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে  গোপনে বিভিন্ন দপ্তরে বলা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।