ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কে চলন্ত বাসে তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট : ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কে চলন্ত বাসে তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

 

ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কে আসমানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করলেও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই তরুণী।

পরে আহত ওই তরুণীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের স্লুইসগেট পাইকারি কাচাঁবাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় ২৮ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর চাচা।

মামলায় ওই বাসটির চালক রাসেল ভুইয়াকে (২০) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারে ওই তরুণীর চাচা উল্লেখ করেন, গত ২৮ ডিসেম্বর তার ভাতিজি (২৫) কুড়িল বিশ্বরোড তরুণীর খালার বাসা থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে আসমানী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৩২৮) একটি বাসে ওঠে।

গাড়ির মধ্যে হালকা ঘুমের ভাব আসায় ওই তরুণী বুঝতে পারেননি বাসটি কোথায় যাচ্ছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কারো হাতের স্পর্শে তার চেতনা ফিরে পেলে দেখতে পান বাসের মধ্যে ওই তরুণী ছাড়া আর কোনো যাত্রী নেই।

এ সময় ওই গাড়ির চালক, হেলপার, কন্ট্রাক্টরসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তরুণীকে ঘিরে ধরে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়।

একপর্যায়ে ওই তরুণীর শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন করে। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই তরুণী তার মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন রেখে তাকে ছেড়ে দিতে আকুতিমিনতি করতে থাকে।

কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি, ধস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে ইজ্জত বাঁচাতে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে যান ওই তরুণী। উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের স্লইচগেট পাইকারি কাচাঁবাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় জখম এবং হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থেঁতলে যায়।

এ সময় কাঁচাবাজারে থাকা লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়।

পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে মুমূর্ষু অবস্থায় তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় বাসচালক রাসেল ভুইয়া (২০) ও হেলপার মো. মিরাজসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদ হাসান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গাড়িসহ চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।